রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
কঠোর লকডাউনের’ অন্যদিনের তুলনায় সড়কে যানবাহন অনেক কম। একদিকে ছুটির দিন, তারপর বৃষ্টি।ফলে সড়কে কম বের হয়েছেন সাধারণ মানুষও। সব মিলিয়ে রাস্তা প্রায় ফাঁকা।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ায়ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্রই। এদিন সকালে সড়কে চলতে দেখা যায়নি খুব বেশি যানবাহন।
তবে রাস্তায় রিকশা ও কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। কিছু পণ্যবাহী পরিবহনও ছিল।
পুলিশের গাড়িও টহল দিয়েছে মোড়ে মোড়ে।
এছাড়া রাজধানীর বাংলামটর, ফার্মগেট, কলাবাগান, ধানমণ্ডি ৩২, সায়েন্সল্যাব, মিরপুর রোড, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ এলাকা ঘুরেও একই চিত্র দেখা গেছে। ‘কঠোর লকডাউন’, বৃষ্টি আর ছুটির দিনের সকাল হওয়ার কারণে অন্য দিনের তুলনায় রাজধানীর সড়কগুলো যেনো একেবারেই ফাঁকা।
এ প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজার, বাংলামটর ও শাহবাগের দায়িত্বরত একাধিক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, ‘কঠোর লকডাউন’ চলছে, তারপর বৃষ্টি এবং ছুটির দিনের কারণে জনসমাগম কম। করোনার কারণে মানুষও ‘লকডাউনের’ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর আমরাও সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।
এদিকে রাস্তায় চাপ কম থাকায় সড়কের ড্রেনেজ থেকে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করতে দেখা গেছে অনেক জায়গায়। আর পরিবহন বন্ধ থাকায় রিকশায় করে গন্তব্যস্থলে গিয়েছেন অনেকেই। তবে ভাড়াও গুণতে হয়েছে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি।
এসব এলাকার বিভিন্ন বাজারের চিত্রও ছিল প্রায় একই রকম। সেখানেও মানুষ ছিল কম। তবে সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারের কিছু দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। যদিও ক্রেতার অপেক্ষাতেই কেটেছে বিক্রেতাদের সময়।
এর আগে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি বিধি-নিষেধ বা ‘কঠোর লকডাউন’ শুরু হয়েছে। এই দিনগুলো সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে টহলে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা। অতি জরুরি প্রয়োজনে ‘বিধিনিষেধের’ সময় বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। পুলিশ জানিয়েছে, বিনা কারণে বাড়ির বাইরে গেলেই করা হবে জরিমানা ও গ্রেফতার। সুত্র: বাংলানিউজ।
ভয়েস/ জেইউ।